বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে ইদানীং অ্যামাজনের গহীন বন সহ পৃথিবীর অনেক দূর্গম জায়গায় মানবসদৃশ কিছু উপজাতীর সন্ধান পাওয়া গেছে। যারা দেখতে মানুষের মত হলেও তাদের ভাষা, কালচার, আচার-আচরণ সবকিছু আলাদা এবং সাধারণ মানুষের কাছে দূর্বোধ্য। বাস্তবে এলিয়েন বলে কিছু আছে কিনা জানিনা, তবে শাহবাগীদেরকে আমার সত্যিকারের এলিয়েন মনে হয়।

এদের গায়ের রং, শরীরের গন্ধ (দুর্গন্ধ), কপালের টিপ, জামার কাটিং থেকে শুরু করে কোনো কিছুই পৃথিবীর কোনো নরমাল মানুষের সাথে মেলেনা।
এরা কোনো বিষয়ে যখন রাজপথে প্রতিবাদ করতে নামে তখন দেখবেন এরা যেসব অঙ্গভঙ্গি করে, নাচানাচি করে, সেগুলোও কোনো নরমাল মানুষের সাথে তো দুরের কথা, অ্যবনরমাল মানুষের সাথেও মেলেনা।
এদের প্রতিবাদের ভাষা বুঝতে হলে আপনাকেও অবশ্যই শাহবাগী হতে হবে। ঠিক যেন আমাজনের গহীনে বসবাস করা কোনো উপজাতি।

এরা বছরে একটা উৎসব করে মন খুলে, সেটা হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় তারা যেসব কার্যক্রম করে সেগুলো বুঝতে গিয়ে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, বড় বড় ইতিহাসবিদদেরও ঘাম ছুটে যায়।
মজার ব্যাপার হলো এরা আসলে কি বলে, কি বোঝায় এটার ব্যাখ্যা করতে পারে একমাত্র প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা।

মনে করেন একজন শাহবাগী গঞ্জিকা সেবন করে পা আকাশের দিকে তুলে দিয়ে শুয়ে আছে।
প্রথম আলো এই ছবি দিয়ে হেডলাইন করবে-
“আকাশের দিকে হাত নয়, পা তুলে শক্ত একটি বার্তা দেওয়া হলো শাহবাগ থেকে”।
মহাকবি ছবি বিশ্বাস তার একটি কবিতায় বলেছিলেন-
পাখিরা উড়িয়া যায় পাখিদের বাসায়,
শাহবাগী বুঁদ হয়ে থাকে গঞ্জিকার নেশায়।
তবে পৃথিবী এগিয়ে গেলেও এরা কিন্তু সেই একই জায়গায় পড়ে আছে। এরা কোনো দিক থেকেই অভিযোজিত হতে পারেনি। এদের অতি নগণ্য সংখ্যাটাও দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। ফলে ডাইনোসরের মত শাহবাগীরাও বিলিপ্তির মুখে।

প্রযুক্তিগত উন্নতি, মানুষের রুচিবোধ বৃদ্ধি, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রভৃতি নানান প্রতিকূল কারণে এদের একমাত্র আবাসস্থলটি আজ হুমকির সম্মুখীন।
সরকারের উচিৎ হবে এই বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদেরকে সংরক্ষণের জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা। এদের জন্য একটি সংরক্ষিত এলাকা নির্বাচন করে এদেরকে সেখানে অবাধ বিচরণের সুযোগ করে দিতে হবে।
সেখানে এদের পছন্দের বিভিন্ন সবজি চাষ করতে হবে।
এদের সম্পর্কে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন –
“ধরণীর মানবকুল যদি কভু হইয়া যায় দৃষ্টিহীন অন্ধ,
সেদিনও শাহবাগী চিনে নেবো জাস্ট শুঁকিয়া গায়ের গন্ধ”
এই শাহবাগীদেরকে এখনই সংরক্ষণের উদ্যোগ না নিলে শীঘ্রই পৃথিবী থেকে সবচেয়ে ইউনিক একটি জাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।।